এবিএনএ : কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, বিএনপি প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখন ভোট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভোটগ্রহণ শুরুর পর বিভিন্ন কেন্দ্রের ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃংখলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেখা যায়।
সকাল ৯টার দিকে তিনি কুমিল্লা মডার্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ভোট দেন।
ভোট প্রদান শেষে সীমা সাংবাদিকদের বলেন, সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে কোনো ধরনের বিশৃংখলা চোখে পড়েনি।
তিনি বলেন, ‘আমি চাই- সবাই নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। জনগণের রায় আমি মাথা পেতে নেব।’
এদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় হোচ্ছামিয়া হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু।
ভোট দেয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাক্কু ভোটার উপস্থিতি ও পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় সুষ্ঠু ভোট হলে তিনিও জনতার রায় মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে বিএনপির এই প্রার্থী ধনাইছরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শালবন বিহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাঙ্গালিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিদ্যালয়, রামকৃষ্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকায় সিল মারার অভিযোগ করেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে কুমিল্লা সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণ, বিএনপি প্রার্থী কাজী মাহবুবুর রহমান ও তার এজেন্ট মো. ফরহাদকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর এই কেন্দ্রে স্থগিত করা হয়।
দুপুরে চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র দখল করে নৌকায় সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী শহীদুল ইসলাম। ওই কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এছাড়া নেউরা এম আই উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন আরেক বিএনপি কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি। মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭। মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১০৩। ভোট কক্ষ ৬২৮। মোট ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা ১৯৮৭ জন।
এই নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ জন ও কাউন্সিলর পদে ১৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে মূল লড়াই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা ও বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর মধ্যে।
Share this content: